ঢাকা,রোববার, ১৯ মে ২০২৪

চকরিয়ায় পিকআপচাপায় পাঁচ ভাইয়ের মৃত্যু

রক্তিমের চিকিৎসা নিশ্চিতসহ পরিবারকে ১৫ কোটি দিতে রিট

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
কক্সবাজারের চকরিয়ার মালুমঘাটে প্রয়াত বাবার পারলৌকিক ক্রিয়ানুষ্ঠানের (শ্রাদ্ধ) আচার সেরে বাড়ি ফেরার মুহূর্তে পিকআপচাপায় পাঁচ ভাই নিহত হয়। এ সময় গুরুতর আহত হয় আরো দুই ভাই-বোন রক্তিম শীল ও হীরা শীল। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রয়েছে রক্তিম শীল। এই অবস্থায় তাদের পরিবারকে ১৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়েছে।

রিটে রক্তিম সুশীলসহ সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা ও তাদের সব চিকিৎসা খরচ দিতে বলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়। আহত রক্তিমের চিকিৎসার খরচ যোগাতে হিমশিম খাচ্ছে পরিবার’ সংক্রান্তে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সংযুক্ত করে পরিবারটিকে এই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদনটি করেন মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র, ব্লাস্টসহ কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন। আদালতে মঙ্গলবার রিটের পে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন ও অ্যাডভোকেট মো. শাহীনুজ্জামান।

রিট শুনানিতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস আদালতকে জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ রক্তিমের সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে। তার চিকিৎসার খরচ সরকার বহন করবে বলেও আশ্বাস দিয়েছে। এ সময় আদালত ক্ষতিপূরণের আবেদনটি সংশোধন করে দাখিল করতে বলেছেন। এছাড়া রিট আবেদনটি শুনানির জন্য মুলতবি রাখা হয়েছে।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভোরে কক্সবাজারের চকরিয়ায় পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় রক্তিম শীলের ভাই অনুপম শীল, নিরুপম শীল, দীপক সুশীল, চম্পক সুশীল ও স্মরণ সুশীল নিহত হন। একই দুর্ঘটনায় আহত রক্তিমকে ওই দিনই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়া তাদের বোন হীরা শীল মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিষ্টান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার একটি পা অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।

রক্তিমের শ্যালক অনুপম শর্মা বলেন, প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তারপর তাকে ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু চিকিৎসাব্যয় মাত্রাতিরিক্ত হওয়ায় দুলাভাই রক্তিমকে জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আইসিইউ বেড না পাওয়ায় তাকে আবারো চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

তিনি আরো বলেন, ‘দুলাভাইয়ের চিকিৎসার পেছনে এখন প্রতিদিন অনেক টাকা খরচ হচ্ছে, যা বহন করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। তবে অনেক মানবিক মানুষ তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু তা অপ্রতুল হওয়ায় আর্থিক সংকটে যথাযথ চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে না। ’

পাঠকের মতামত: